নোয়াখালীর চাটখিলে ১০ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাইদ মিয়া (৩৮) নামের এক অটোরিকশা চালককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই দন্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে অটোরিকশায় করে মাদ্রাসা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় তোলে সাজাপ্রাপ্ত সাইদ মিয়া (৩৮)। পরে রিকশায় রেখেই ধর্ষণের চেষ্টা করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত চালক।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে আবারো সেই অটোরিকশা চালক ঐ শিক্ষার্থীর পথরোধ করে। তখন শিক্ষার্থী চিৎকার করে। শিশুর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে রিক্সা চালককে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দেয়। বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান সেখানে উপস্থিত হন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাইদ মিয়কে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত সাইদ মিয়া(৩৮) মৌলভীবাজার জেলাধীন মৌলভীবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত তজবির মিয়ার ছেলে। সে তার শশুর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানাধীন ভাটরা ইউনিয়নের ডলটা বড় বাড়িতে বসবাস করে।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা শিশুটির কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে অভিযুক্ত সাইদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করে। অভিযুক্ত রিকশাচালকের প্রতিবন্ধী সন্তান থাকায় মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’