নোয়াখালীর চাটখিলে ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উপজেলাভিত্তিক সেরা ফল করা শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ৩৯ জন সেরা শিক্ষার্থীর হাত ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সেরা শিক্ষার্থীদের হাতে এই ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়ার হয়। চাটখিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস (পিবিজিএসআই)’ স্কিমের আওতায় প্রতিবছর এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমানের শিক্ষার্থীদের উপজেলা ভিত্তিক ফলাফল অনুসারে সেরা শিক্ষার্থী পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা প্রতি বিভাগে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী; কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী; এভাবে এসএসসি/সমমানের ১০ জন এবং এইচএসসি/সমমানের ১০ জনকে প্রতিবছরের সেরা শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়। এসএসসির সেরা শিক্ষার্থীদেরকে প্রত্যেককে ১০ হাজার এবং এইচএসসি সেরাদের ২৫ হাজার টাকা করে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার নুরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় গভর্নিং বডির সভাপতি আহসানুল হক মাসুদ, চাটখিল মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, সোমপাড়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহজাহান শেখ, ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক করে পড়াশোনা করতে হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে টার্গেট করে পরিশ্রম করলে লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে।’ এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে আত্ম-অহমিতা ও অহংকার মুক্ত থাকারও পরমর্শ প্রদান করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) বাস্তবায়ন করছে এই কার্যক্রম। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।
পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দ হওয়া নগদ টাকা এরইমধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।