প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) নেতারা। তারা বলেছেন, সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হলে সেন্টমার্টিনের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তাছাড়া পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল দ্বীপের ১০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন টোয়াব নেতারা। তারা সেন্টমার্টিনের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক কঠোরভাবে বন্ধ করে দ্বীপে রাতযাপনসহ পর্যটন চালু রাখার পাশাপাশি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিকল্প পথ তৈরি, ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড লাইসেন্স, নবায়ন ফি, ব্যাংক স্থিতি ও জামানত রাখার বিধান বাতিল, ট্যুর অপারেটর সেবার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার, সারা বছর সুন্দরবনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল চালু ও পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোয় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আছে। নতুন করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সরকারকে বলছি, আপনাদের কতিপয় সিদ্ধান্ত পর্যটন খাতকে ত্বরান্বিত করবে না। বিনিয়োগও আসবে না।’
চলতি সপ্তাহে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারলেও রাতযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে যেতে পারবেন, থাকতেও পারবেন। এ সময় দিনে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন না। ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ ফারুক সিদ্দিকী ফরহাদ নির্বাহী সম্পাদক : মাইনউদ্দিন (বাধঁন)
সম্পাদকীয় কার্যালয়: চাটখিল দক্ষিণ বাজার, সরকারি হাসপাতাল রোড (পূর্ব গলি), চাটখিল, নোয়াখালী।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক চাটখিল বার্তা